মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (০৩ মার্চ) রাতে আলাদা শোক বার্তায় তারা এ দুঃখ প্রকাশ করেন।
বঙ্গভবন প্রেস উইং জানায়, শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে এইচ টি ইমামের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে আজীবন কাজ করে গেছেন। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সদ্য স্বাধীন দেশে সরকার পরিচালনায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।
জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনায়ও তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে হারালো।
রাষ্ট্রপতি মরহুম এইচ টি ইমামের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, এইচ টি ইমামে মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ প্রশাসনিক সার্ভিসে জনাব এইচ টি ইমামের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের পুরো সময়টাও তিনি একই পদে থেকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে জনাব ইমাম আমার প্রশাসনিক উপদেষ্টা হিসেবে এবং ২০১৪ সাল থেকে আমৃত্যু রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে অত্যন্ত প্রজ্ঞার সঙ্গে প্রজাতন্ত্রের সেবক হিসেবে কাজ করেন। জাতির পিতার আদর্শের এই কর্মী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর অন্যতম সদস্য হিসেবে দলকেও সমৃদ্ধ করেছেন।
শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বুধবার (০৩ মার্চ) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এইচ টি ইমাম।
মৃত্যুকালে হোসেন তৌফিক ইমামের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি কিডনির জটিলতাসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। তাকে অসুস্থ অবস্থায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছিল।