বাংলাদেশে নবনিযুক্ত অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার জানিয়েছেন যে, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
আজ বুধবার (৩ মার্চ) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, ‘হাইকমিশনার বলেছেন, টিকাদানে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এ সময় করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসাও করেন অস্ট্রেলীয় রাষ্ট্রদূত। ’
অন্য বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে তিনিও ঢাকায় করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন বলে জানান জেরেমি।
এদিকে, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাইকমিশনারকে বলেন, ‘সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সবাইকে কাজে লাগিয়ে সময়োচিত পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ’
অন্যদিকে, বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনীতিসহ বিভিন্ন সেক্টরে সহযোগিতা জোরদারে অস্ট্রেলিয়ার আগ্রহের কথা জানান হাইকমিশনার। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অনুষ্ঠেয় জাহাজ যোগে সমুদ্রযাত্রায় অংশগ্রহণে তিনি তার দেশের আগ্রহের কথা জানান। এ সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রশংসা করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল এ বছর টি-২০ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফর করবে বলেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় যে সব দেশ বাংলাদেশকে আগে স্বীকৃতি দেয়, তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অন্যতম। ’
এ সময় ক্রিকেটের উন্নয়নে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা পেয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী।
আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর সহযোগিতা প্রত্যাশা করে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে সফল প্রত্যাবাসনে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। ’
সাক্ষাৎকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।