ভোট ব্যক্তির নিজস্ব মতামত কিংবা জনমত প্রতিফলনের একটি গণতান্ত্রিক মাধ্যম বা পদ্ধতিবিশেষ। ‘বয়স যদি আঠারো হয়-ভোটার হতে দেরি নয়’—এ প্রতিপাদ্য ধারণ করে আজ মঙ্গলবার জাতীয় ভোটার দিবস পালন করছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের উদ্যোগে সারা দেশে দিবসটি পালিত হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে দিনটি পালনের পাশাপাশি ইসির মাঠ প্রশাসনেও ভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে কর্মসূচি কিছুটা নিয়ন্ত্রিত করা হচ্ছে। দিনটিতে ২০২০ সালের হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
গতকাল নির্বাচন কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভোটার দিবসে নির্বাচন ভবনের সামনের চত্বর থেকে সকালে বেলুন উড়িয়ে ভোটার দিবস উদযাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করা হবে। এরপর অডিটরিয়ামে দিবসের গুরুত্ব ও তাত্পর্য নিয়ে এক আলোচনাসভা হবে। এ ছাড়া বিকেল ৩টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার সব আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে ভার্চুয়াল সভায় অংশগ্রহণ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে নির্বাচন ভবন ও মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোতে এরই মধ্যে আলোকসজ্জা করা হয়েছে এবং ভবনের সামনের রাস্তা ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করতে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে। বিশেষ করে বিটিভিতে আলোচনাসভা সম্প্রচারিত হবে। জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হবে ক্রোড়পত্র। বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে ভোটারদের সচেতনতামূলক এসএমএস পাঠানো হবে। ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইসি।
প্রসঙ্গত, দেশে তৃতীয়বারের মতো পালিত হতে যাচ্ছে ভোটার দিবস। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও ভোটাধিকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে’ প্রতিবছরের ১ মার্চকে জাতীয় ভোটার দিবস হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। এক বছর ভোটার দিবস পালনের পরে এই তারিখ পরিবর্তন করে ২ মার্চ করা হয়। জাতীয় ভোটার দিবস ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত একটি দিবস। প্রমোশন ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত দিবসগুলো ‘খ’ শ্রেণিতে থাকে।