শিক্ষাসহায়তায় বিত্তশালীদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রসারে সরকারের নানা উদ্যোগের চিত্র তুলে ধরে আহ্বান জানিয়ে, দেশের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসতে বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে সারাদেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। এ ক্ষেত্রে বিত্তশালীরাও এগিয়ে আসবেন। আমাদের শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট ফান্ডে সহায়তা করবেন বা নিজ নিজ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহায়তা করবেন। নিজে যে প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করেছেন, সেটার উন্নয়নে ও সেখানকার শিক্ষার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে আসলেই তো হয়।’

আজ রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট থেকে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি, টিউশন ফি, ভর্তি সহায়তা ও চিকিৎসা অনুদান বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এক কোটি ৬৩ লাখ ৮০০ শিক্ষার্থীর মাঝে ৮৭ কোটি ৫২ লাখ টাকার শিক্ষা সহায়তা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন ঘোষণা করছি। ২০১০ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ৩৬৬ কোটি বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। করোনার মধ্যে এ বছরও এটি বন্ধ হয়নি। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ৩০ মার্চের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ারও ব্যবস্থা করছি। আমরা শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠন করে এই ট্রাস্ট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ২০১২ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করি। এর মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে উপবৃত্তি, টিউশন ফি, ভর্তি সহায়তা ও চিকিৎসা অনুদান দেয়া হচ্ছে। উচ্চশিক্ষায় ফেলোশিপ দেয়া হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ এ সরকার গঠন করে সারাদেশে শিক্ষা প্রসারে উদ্যোগ নিই। নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলন শুরু করি। সেটাতে সাফল্যও পেয়েছি। শিক্ষাকে বহুমুখী করার পদক্ষেপ নিই। প্রযুক্তির শিক্ষারও গুরুত্ব দিয়েছি। বাংলাদেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ও আওয়ামী লীগ সরকার করে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট চায়নি এদেশের মানুষ শিক্ষিত হোক। ৯৬-এ আমাদের নেয়া উদ্যোগগুলো তারা বন্ধ করে দেয়।

গণভবন প্রান্ত থেকে এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান প্রমুখ।

Scroll to Top