দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ৩৫৬ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩৬৬ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৪৩ হাজার ৭১৭ জনে।
আজ সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৯২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৯২ হাজার ৫৯ জন।
সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৭টি, জিন-এক্সপার্ট ২৯টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬৮টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা করা সংগ্রহ হয়েছে ১১ হাজার ৫১টি। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ১০৩টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৯ লাখ ২০ হাজার ৫৯টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার তিন দশমিক ৩০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত সাতজনের মধ্যে চারজন পুরুষ ও তিনজন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে পাঁচজন, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে একজন করে দু’জন রয়েছেন। এদের মধ্যে সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দু’জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ২২৬ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯০ হাজার ২২৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন নয় হাজার ৯৪৩ জন।