তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মন্তব্য করে জানিয়েছেন যে, সংবাদমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করলে তরুণরা আশাহত হন। গণমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদের পাশাপাশি ইতিবাচক সংবাদও প্রকাশ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নেতিবাচক সংবাদ শুধুই হতাশার কথা বলে। এর ফলে তরুণরা আশাহত হন। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ড. হাছান মাহমুদ।
জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ ও বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খান।
সেমিনারে ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন’ শিরোনামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য আইয়ূব ভুঁইয়া।
সেমিনারে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৮ সালেই বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনের জন্য গ্রেফতার হয়েছিলেন। কারাগার থাকার সময়েও তিনি ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ভাষার জন্য আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে তিনি কারাগারে অনশনও করেছিলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর এসব অবদানের কথা দীর্ঘদিন জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। প্রকাশ না করাটা ছিলো অন্যায়, যারা এ কাজ করেছেন তারা অন্যায় করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ এবং এখন যেসব সিক্রেট ডকুমেন্ট প্রকাশিত হচ্ছে, সেগুলো পড়লে বোঝা যায়—বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান সৃষ্টির পর পরই বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা চিন্তা করেছিলেন এবং সেই লক্ষ্যেই কাজ করেছেন।
সম্প্রতি ভারত সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের মানুষের এক সময় বাংলাদেশের বিষয়ে ভুল ধারণা ছিলো। কিন্ত এখন তারা স্বীকার করেন, বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে এগিয়ে গিয়েছে। কিন্তু দেশের অনেকের তা স্বীকার করতে লজ্জা হয়।
সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ষড়যন্ত্র হয়েছে, হচ্ছে। সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।