বিএনপি নেতারা টিকা নিলে শক্তিশালী বিরোধীদল পাবো: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির অনেক নেতা বৈশ্বিক মহামারী করোনার টিকা নিয়েছেন বলে তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, আমরা চাই তারা টিকা নিয়ে সুস্থ থাকুন।কারণ আমাদের একটি শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬, বিএনপি সরকারের ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের নিন্দা ও প্রতিবাদ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে মনে হয়, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে তারা ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে যেমন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে দেশের শত্রুরা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছিল, তেমনি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে বিএনপি ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে বলেই তাদের বক্তব্যে বোঝা যায়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ কথার দু’ধরনের ব্যাখ্যা হয়। একটি হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যেভাবে ষড়যন্ত্র করেছিল, আমাদের সরকারের বিরুদ্ধেও তারা ক্রমাগত ১২ বছর ধরে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। আরেকটি হচ্ছে, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন দৈব দুর্বিপাকের ওপর নির্ভরশীল।

মন্ত্রী এ সময় আল-জাজিরার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনকেও এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, তাদের অসত্য বানোয়াট রিপোর্ট এই দেশ ও বিশ্বের মানুষ গ্রহণ করেনি এবং আল-জাজিরা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, প্রেসক্লাবের সামনে কয়েকশ\’ লোকের সমাবেশ করে বিএনপি বলে বিশাল সমাবেশ করেছে। ২ কোটি মানুষের ঢাকা শহরে কয়েকশ’ মানুষের সমাবেশ যদি বিশাল সমাবেশ হয়, তাহলে বুঝতে হবে, বিএনপির পৃথিবীটা ছোট হয়ে আসছে এবং তারা জনগণ থেকে কতটা বিচ্ছিন্ন।

তিনি বলেন, যে বিএনপির জন্মটাই ক্যান্টনমেন্টে, তারা আজ নির্বাচন-গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে। তাদের বেশিরভাগ নেতাই দলছুট, যারা ফুটবল-ক্রিকেটের দলবদলের মতো বেশি অর্থের বিনিময়ে বিএনপিতে ভিড়েছে, জিয়াউর রহমানের বিলানো ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট পেতে।

ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বিশেষ অতিথি হিসেবো বক্তব্য রাখেন।

Scroll to Top