ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার দ্বিতীয় চালান দেশে আসবে। এখন পর্যন্ত ৩০ লাখ টিকা আনার চিন্তা-ভাবনা চলছে।
আমাদের চাহিদার ওপর টিকার সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে। কারণ এখনো ৬০ লাখের বেশি টিকার মজুদ রয়েছে। টিকা নিয়ে কোনো সংকট হবে না।
আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনা টিকা নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি শুরু থেকে বলে আসছি, এ টিকা হলো সবচেয়ে নিরাপদ টিকা। কার্যকারিতা আছে, তবে সবচেয়ে বড় গুণ হলো এ টিকা নিরাপদ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, গত ২০ জানুয়ারি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ ডোজ টিকা ভারত সরকার উপহার হিসেবে বাংলাদেশে পাঠায়। পরবর্তীসময়ে কেনা টিকার ৫০ লাখের প্রথম চালান আসে ২৫ জানুয়ারি। গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে।
করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এই দিনে সারাদেশে টিকা নিয়েছেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন নয় লাখ ছয় হাজার ৩৩ জন। এদের মধ্যে মোট ৪২৬ জনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।