করোনা ভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে যখন গোটা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ তখন নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়কেন্দ্রের স্কুলগুলো খোলা রয়েছে।
আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভাসানচরে গিয়ে কয়েকটি স্কুল খোলা দেখতে পাওয়া যায়।
ভাসানচর ২৪ নম্বর ক্লাসটারে বেসরকারি সংস্থা একল্যাব পরিচালিত উপ আনুষ্ঠানিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। সেখানে দুই শিফটে ৬টি ক্লাসে শিশু শ্রেণির ক্লাস চলছে। স্কুলশিক্ষক মুহম্মদ রহিমুল্লাহ বলেন, স্কুলে শিশুদের বার্মিজ, ইংলিশ, অংক, লাইভ ডেভেলপমেন্ট স্কিল শেখানো হয়ে থাকে। প্রতিদিন দুই শিফটে ক্লাস হয়ে থাকে। প্রথম শিফট সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত। আর দ্বিতীয় শিফট ১২ টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত। শিশুদের কাছ থেকে কোনো ফি নেওয়া হয় না। কাগজ কলমও ফ্রি দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
আজ বুধবার স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা শিক্ষকের সঙ্গে গলা মিলিয়ে উচ্চস্বরে ইংরেজি অ্যালফাবেট শিখছে। আনন্দের সঙ্গেই সেখানে পড়তে দেখা যায়।
স্কুল ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভাসানচরে স্কুলের খুব চাহিদা রয়েছে। আমরা স্কুলটি গত ৩০ জানুয়ারি চালু করেছি। প্রতি ক্লাসে ৩০ জন করে শিক্ষার্থী রয়েছে। শিশুদের জন্য লেভেল-১ শেণিতে ৬ টি ক্লাসে ১৮০ জন শিশু পড়ছে। তবে চাহিদা থাকার জন্য নির্ধারিত শিক্ষার্থীদের বাইরেও কেউ কেউ উৎসাহী হয়ে পড়তে আসে। আমরা তাদেরও পড়াই।
ভাসানচর এলাকায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কমোডর আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী জানান, সারা দেশে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও ভাসানচরে আমরা স্কুল খোলা রেখেছি। রোহিঙ্গা শিশু ও অভিভাবকদের কল্যাণের জন্যই আমরা স্কুল খোলা রেখেছি। ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পে শিশুদের জন্য দু’টি স্কুল রয়েছে।