এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা ফরম পূরণের সময় জমা দেয়া অর্থের কিছু অংশ ফেরত পাবেন। যেহেতু পরীক্ষা হয়নি তাই কিছু টাকা ফেরত দেয়া হবে। শনিবার এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
ডা. দীপু মনি বলেন, এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ বাবদ আদায় করা অর্থের অব্যয়িত অংশ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষাকে আনন্দময় করতে চাই। আমাদের শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন করবে, দক্ষতা অর্জন করবে, তারা সঠিক মনোভাব নিয়ে গড়ে উঠবে এটাই প্রত্যাশা। এছাড়া এ সময় তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিড় না করার আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীরা তাদের ফলাফল মোবাইলে রেজিস্ট্রেশন বা নেটের মাধ্যমে পেয়ে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমায়েত হয়ে কোনো রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি নেবেন না। করোনাকালে দীর্ঘ বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরীক্ষার হলে বসা হয়নি দেশের ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীর। পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসির ফলাফল দেওয়া এবং ডিজিটালি ফল প্রকাশের ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম।
এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে। তবে করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ায় পরীক্ষা নেওয়া আর সম্ভব হয়নি। সে কারণে জেএসসি এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষা ছাড়া ফল প্রকাশের জন্য আইনও সংশোধন করতে হয়েছে।
অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে করা মূল্যায়নে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী। গতবছর এইচএসসি ও সমমানে পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ২৮৬।