করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে অপপ্রচার-গুজব করলেই ব্যবস্থা: শিক্ষা উপমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চলতি মাসেই প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের ৫০ লাখ ভ্যাকসিন দেশে আসছে বলে জানিয়েছেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। পর্যায়ক্রমে ৩ কোটি ভ্যাকসিন আসবে। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্নের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। তবে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো ধরনের অপপ্রচার বা গুজব সৃষ্টি করা যাবে না। কেউ করলে তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে গঠিত চট্টগ্রাম জেলা কমিটির প্রথম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন সভার আয়োজন করেন। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় করোনার ভ্যাকসিন কার্যক্রম সম্পর্কে মূল বিষয় উপস্থাপন করেন কমিটির সদস্য সচিব জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।

বক্তব্য রাখেন দ্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহাবুবুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান, জেলা শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হায়দার হেনরী, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হৃষিকেশ শীল।

উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. উ খ্যে উইন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. নুরুল হায়দার, মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, আলমানাহিল ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ ও জেলা তথ্য অফিসার সাঈদ হাসান প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে চট্টগ্রামে করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হবে। চাহিদা অনুযায়ী জেলার সর্বত্র ভ্যাকসিন প্রেরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, আগামী ২১-২৫ জানুয়ারি মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন আসবে। ২৬ জানুয়ারি থেকে ভ্যাকসিন প্রয়োগের রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে এবং ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োগ করা হবে। পর্যায়ক্রমে সবাই এ ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই শাখায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন রাখার জন্য ওয়াক-ইন-কুলার (ডব্লিউআইসি) রয়েছে। এখানে ১ লাখ ডোজ সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে প্রেরিত ভ্যাকসিন আইএলআর ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হবে। আইএলআর ফ্রিজে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রাখা যাবে। ডব্লিউআইসি ও আইএলআর ফ্রিজের তাপমাত্রা থাকবে ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ইপিআই টিকা অন্য ডিপ ফ্রিজে আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা থাকবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কোল্ড ক্যারিয়ারে করে ইউনিয়ন পর্যায়ে ভ্যাকসিন পাঠানোর ব্যবস্থা থাকবে। সিনিয়র স্টাফ নার্স, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের কিছু সিনিয়র কর্মচারী ভ্যাকসিন প্রয়োগের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন বলেও জানান তিনি।

Scroll to Top