বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান জানিয়েছেন যে, পদ্মাসেতু রেল সার্ভিস চালু হলে যশোরাঞ্চলের জনগণ সুফল ভোগ করবে।
রোববার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে বেনাপোল স্টেশনের গুডস ইয়ার্ড সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
রেলওয়ে মহাপরিচালক শামছুজ্জামান বলেন, পদ্মা রেলসেতু চালু হলে খুলনা থেকে ঢাকাগামী ট্রেনগুলো বসুন্দিয়া হয়ে পদ্মাসেতু চলে যাবে। তবে, বেনাপোল এক্সপ্রেস, কলকাতার মৈত্রী এক্সপ্রেস সরাসরি যশোরের ওপর দিয়ে পদ্মাসেতু হয়ে ঢাকা যাবে। এছাড়াও পদ্মাসেতু চালু হলে যশোরবাসী ছাড়াও বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতগামী যাত্রীদের সুবিধার্থে আরও একাধিক ট্রেন সংখ্যা বাড়ানো হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এসব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে রেলমন্ত্রীর নেতৃত্বে রেলওয়ে বিভাগ কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে খুলনা থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডাবল লাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
যশোরের কৃতি সন্তান ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক শামছুজ্জামান আবেগ আপ্লুত হয়ে আরও বলেন, ‘সেই ১৯৭২-৭৩ সালের দিকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশুনাকালে বাড়ি থেকে বেনাপোল এসে নামতাম। এরপর হাফপ্যান্ট পরে পাসপোর্ট ছাড়াই ধাক্কা দিয়ে সীমান্ত টপকে ওপার বাংলায় যেতাম …… কতো স্মৃতি …..১৯৪৯ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এ রেলপথে কলকাতা কোর্টে মামলার হাজিরা দিয়েছেন, বেনাপোল রেলস্টেশনের একটি বটগাছের ছাঁয়ায় বিশ্রাম নিয়েছেন, যা জাতির জনক কারাগারের রোজনামচা বইয়ে লিখে গেছেন। সেই বেনাপোল আর আজকের বেনাপোল কতো তফাৎ। বঙ্গবন্ধু কন্যার উন্নয়নের মহাসড়কে বেনাপোল পিছিয়ে নেই। অবিলম্বে বেনাপোলে রেল টার্মিনাল নির্মাণ ও শার্শায় আধুনিক রেলস্টেশন তৈরির পরিকল্পনা আছে। জাতির জনকের পদধুলি পড়া বেনাপোল রেলস্টেশনে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল নির্মাণ, যশোর রেলস্টেশন আধুনিকায়ন করা হবে। এছাড়াও ফুলের রাজধানী গদখালীতে উৎপাদিত ফুল, প্রান্তিক চাষি বা খামারিদের উৎপাদিত ফসল পরিবহনের জন্য পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম, রাজশাহী) মিহির কান্তি গুহ\’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান, বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক আব্দুল জলিল, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী-আল ফাত্তাহ মো. মাসউদূর রহমান মাসুদ, প্রধান পরিবহন কর্মকতা শহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যশোর নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সভাপতি শেখ মাসুদুজ্জামান, বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজল।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইন্দো-বাংলা চেম্বার অব কমার্স সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকতা আহছান উল্যা ভূইঞা, প্রধান বৈদ্যুতিক কর্মকতা শফিকুর রহমান, মহাপরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) এস এম ফেরদৌস হোসেন, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চিফ কমান্ডেন্ট আশাবুল ইসলাম, পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন, বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ বীরবল মণ্ডল, যান্ত্রিক প্রকৌশলী, মমতাজুল ইসলাম সোহান, বৈদ্যুতিক কর্মকর্তা রিফাত শাকিল টুম্পা, সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী, রুবাইয়াৎ শরীফ প্রান্ত, নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডেন্ট রেজাউন উর রহমান।