বাংলাদেশে কৃষিতে যে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে তাতে সবচেয়ে বেশি অবদান কৃষকদের বলে জানিয়েছেন, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তারা হচ্ছেন সামনের সারির যোদ্ধা। এই কৃষিকাজে শিক্ষিত মেধাবীরা সম্পৃক্ত হলে কৃষিতে বিনিয়োগ ও উদ্ভাবন বাড়বে। তাদের মাধ্যমেই কৃষির উন্নয়ন ও উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।
শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় এবং চ্যানেল আই’র পরিচালক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, এ ধরনের পুরস্কার প্রদানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আজকে ১০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে দেশের লাখ লাখ কৃষক, চাষি ও উদ্যোক্তারা কৃষিকাজে উদ্বুদ্ধ হবে।
কৃষিক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পেয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২০। ষষ্ঠবারের মতো দেয়া হলো এই কৃষি পুরস্কার। এ বছর দুটি নতুন ক্যাটাগরিসহ মোট নয়টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন পথিকৃৎ কৃষিবিজ্ঞানী ‘কাজী পেয়ারার’ জনক ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা। এছাড়া, পুরস্কার পেয়েছেন বছরের সেরা পুরুষ কৃষক মাল্টা চাষি সাখাওয়াৎ হোসেন, বছরের সেরা নারী কৃষক ফরিদপুরের পেঁয়াজবীজ চাষি শাহিদা বেগম, পরিবর্তনের নায়ক এরশাদ মাহমুদ, জুরি স্পেশাল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসান ও চট্টগ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা কোহিনুর কামাল, সেরা কৃষি প্রতিষ্ঠান (গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি) জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং, সেরা কৃষি প্রতিষ্ঠান (সহযোগিতা ও বাস্তবায়ন) আরবান, সেরা কৃষি সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম হিরু ও দুর্যোগ প্রতিরোধে সেরা কমিউনিটি ‘লিডার্স’।
আয়োজকরা জানান, শতাধিক আবেদনের ভেতর থেকে বাছাই শেষে জুরি বোর্ড উল্লিখিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করেছে। বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সম্মাননা হিসেবে মোট ২৪ লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।