বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও মাদক অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছেন। লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানিয়েছেন যে, মাদকবিরোধী অভিযান যেকোনো সময় বড় ধরনের সহিংসতায় রূপ নিতে পারে।
আজ মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ‘র্যাব সেবা সপ্তাহে রক্তদান’ কর্মসূচির অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সোমবার (৪ জানুয়ারি) ময়মনসিংহে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। একজন র্যাব সদস্য মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়েছিলেন। সেখানে মাদক কারবারীদের হাতে ওই র্যাব সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনার ভয়াবহতা এমনই ছিল মাদককারবারীরা র্যাব সদস্যের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছেন। ওই র্যাব সদস্য এখন একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মাদকের পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যেকোনো মাদকবিরোধী অভিযানে বড় ধরনের সহিংসতার রূপ নিতে পারে। এই বাস্তবতায় কেবলমাত্র আসামিপক্ষের নয় সশস্ত্র র্যাব সদস্যরাও মাদকব্যবসায়ীদের দ্বারা হামলার শিকার হচ্ছেন। তারই একটি নজির সোমবার ময়মনসিংহে ঘটলো।
নতুন বছরে র্যাবের কর্মপরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে র্যাবের জন্ম হয়েছিল। তিনটি ম্যান্ডেটের মধ্যে রয়েছে জঙ্গিবাদ দমন, মাদক, ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার। এই তিনটি ম্যান্ডেটকে সামনে রেখে র্যাবের জন্ম হয়েছিল। র্যাব প্রতিষ্ঠার গত ১৪ বছর ধরেই এই অগ্রযাত্রায় সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে র্যাব। চলতি বছরে র্যাবের লক্ষ্য হবে যে এই তিনটি বিষয়ে যেন জনগণের আস্থা ধরে রাখতে পারি।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদমুক্ত যে দেশ চেয়েছি আমরা নতুন বছরেও এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে জঙ্গিবিরোধী অভিযান ত্বরান্বিত করবো। এর পাশাপাশি মাদকবিরোধী অভিযানের র্যাবের সক্ষমতা দেশবাসী আবারও দেখতে পারবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে র্যাবের তৎপরতা বিদ্যমান থাকবে।