দেশের চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি খাতের ১০ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৫ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে বর্তমান সরকার। সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানাযুক্ত বাসমতি নয়, এমন চাল এলসি খোলার ১০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে শর্তসাপেক্ষে আমদানির অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
গত ৩ জানুয়ারি অনুমতির চিঠি খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, নির্ধারিত ছকে আবেদন করা প্রতিষ্ঠান থেকে যাচাই-বাছাই করে শর্তসাপেক্ষে সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাত দিনের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে। এ-সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে। ব্যবসায়ীর মধ্যে যারা পাঁচ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ চাল এবং ২০ দিনের মধ্যে পুরোটাই দেশে বাজারজাত করতে হবে।
এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছে তাদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে অর্ধেক চাল এবং ৩০ দিনের মধ্যে সব চাল স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করতে হবে বলেও মন্ত্রণালয় থেকে শর্ত দেওয়া হয়।
আমদানির জন্য অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:
জয়পুরহাটের হেনা এন্টারপ্রাইজ ১০ হাজার টন, দিনাজপুরের রেনু কন্সট্রাকশন ১৫ হাজার টন, খুলনার কাজী সোবহান ট্রেডিং করপোরেশন ১০ হাজার টন, বগুড়ার আলাল অ্যাগ্রো ফুড প্রডাক্টস ১০ হাজার ও আলাল এন্টারপ্রাইজ পাঁচ হাজার টন, নওগাঁর দীপ্ত এন্টারপ্রাইজ ১০ হাজার টন, আকাশ এন্টারপ্রাইজ ১০ হাজার টন, ঘোষ অটোমেটিক রাইস মিল ১৫ হাজার টন, মেসার্স নুরুল ইসলাম ১০ হাজার টন ও জগদীশ চন্দ্র রায় ১০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের চাল বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির শুল্ক কমিয়েছে সরকার। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। দেশের বাজারে চিকন চালের দাম এখন প্রতিবস্তা (৫০ কেজি) ৩ হাজার ২০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকার মধ্যে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। খুচরায় প্রতি কেজি সরু চালের দাম পড়ছে ৬৪ টাকা থেকে ৬৬ টাকার মধ্যে। সরু চালের সাথে পাল্লা দিয়ে মাঝারি ও মোটা চালের দামও বেড়েছে।