গত ৫ বছরে দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ পাচার হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। অর্থপাচারের মাধ্যমে বিদেশে নাগরিকত্ব পাওয়া বাংলাদেশিদের তালিকা চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনা ও পাচারের অর্থ ফেরত আনতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।
বিদেশে বিনিয়োগের নামে অর্থপাচার করে কতজন ওই দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন তার কোনো হিসাব নেই সরকারের কাছে। ৫ বছর আগের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির এক প্রতিবেদন বলছে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৯৮ হাজার কোটি টাকা। যে টাকা দিয়ে চারটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যেতো।
এমন প্রেক্ষাপটে অর্থপাচারের মাধ্যমে বিদেশে নাগরিকত্ব পাওয়া বাংলাদেশিদের তালিকা চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের গবেষণা ও পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে দুদকের চিঠিতে বলা হয়েছে, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে মিস-ইনভয়েসিং, হুন্ডি, ব্যাংক ক্যাশ ট্রান্সফারের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হচ্ছে। যা দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে।
অর্থপাচারকারীদের সাজা নিশ্চিত করা এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতেই এ উদ্যোগ বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। তবে এই প্রক্রিয়া যে কঠিন তা উল্লেখ করে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করেছে দুদক।
পানামা পেপার্স, প্যারাডাইস পেপার্স কেলেঙ্কারিতে বিভিন্ন বাংলাদেশি নাগরিকের নাম উঠে এসেছে। বিভিন্ন ব্যক্তির অর্থপাচারের তথ্য চেয়ে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ ৫০টি দেশে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে দুদক। যার মধ্যে ২২ দেশ সাড়া দিয়েছে।