ইউরোপের রাষ্ট্র ফ্রান্সের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন ও দেশটির পণ্য বর্জনের জন্য মুসলিম দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
আজ সোমবার (২ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি শুরুর আগে সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাবু নগরী বলেন, “আমি সব মুসলিম দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের কাছে দাবি জানাব, আপনারা ফ্রান্সের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক ছিন্ন করুন। ইমানি দাবি, আপনারা ফ্রান্সের যাবতীয় পণ্য বর্জন করুন। ”
ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের ইমানি শক্তি থাকলে ফ্রান্সের পণ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফেলে দিন। ”
বিশ্ব মুসলিম দেশগুলো এবং বাংলাদেশ সরকারকে তিনি বলেন, “যারা আল্লাহ রাসুল ও কোরআনের সঙ্গে বেয়াদবি করবে তাদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন পাস করুন। ”
সভাপতির বক্তৃতায় ঢাকা মহানগর হেফাজতের সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, “ফ্রান্স সব মুসলমানের ইমানে আগুন জালিয়ে দিয়েছে। এ আগুন নেভানোর একমাত্র পথ ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। যদি ক্ষমা না চান, তাহলে এ আগুনে পুড়ে ফ্রান্স ছারখার হয়ে যাবে। ”
তিনি অবিলম্বে বাংলাদেশের ফ্রান্স দূতাবাস বন্ধ করে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাসের আহ্বান জানান।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। মিছিলে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।
দুপুর পৌনে ১টায় মিছিলটি শান্তিনগর পৌঁছালে পুলিশ আটকে দেয়। পরে সেখানে মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- হেফাজত নেতা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা নুরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মামুনূল হক, ড. আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজি, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা হাসান জামিল প্রমুখ।
সমাবেশ থেকে ঢাকায় মুর্তি বানানোর প্রতিবাদে ১৩ নভেম্বর বাদ জুমা বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।