আজ মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মাসেতুর ৮ ও ৯ নম্বর পিলারের (খুঁটি) ওপর বসানো হয়েছে ৩৫তম ‘টু-বি’ স্প্যান। ফলে এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো পদ্মারসেতুর ৫ হাজার ২৫০মিটার। পুরো সেতুতে এখন ছয়টি স্প্যান বসানো বাকি থাকলো। ৩৪তম স্প্যান বসানোর সাত দিনের মাথায় বসানো হলো এই স্প্যানটি।
আজ শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৪৩মিনিটের দিকে স্প্যান বসানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের।
এর আগে সকাল ৯টা ২৫মিনিটের দিকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ায় অবস্থিত কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডের স্টিল ট্রাস জেটি থেকে স্প্যানটি বহন করে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই রওয়ানা দেয়। প্রায় ৩২মিনিট পর কাঙ্ক্ষিত খুঁটির কাছে পৌঁছায়। পরে ৩ হাজার ৬০০ টন সক্ষমতার ক্রেনটি সফলভাবে বসানো হয়।
সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, নাব্যতা সংকটের কারণে শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) স্প্যানটি বসানো সম্ভব হয়নি। ভাসমান ক্রেনটির অবস্থান করার জন্য পর্যাপ্ত গভীরতা ছিলো না নির্ধারিত খুঁটির কাছে। তাই শুক্রবার ড্রেজিং করে নাব্যতা সংকট নিরসন করা হয়।
অন্যদিকে পদ্মাসেতুতে বাকি ৬টি স্প্যান বসানো। ৪ নভেম্বর পিলার ২ ও ৩ নম্বরে ৩৬তম স্প্যান (স্প্যান ১-বি), ১১ নভেম্বর পিলার ৯ ও ১০ নম্বরে ৩৭তম স্প্যান (স্প্যান ২-সি), ১৬ নভেম্বর পিলার ১ ও ২ নম্বরে ৩৮তম স্প্যান ( স্প্যান ১-এ), ২৩ নভেম্বর পিলার ১০ ও ১১ নম্বরে ৩৯তম স্প্যান ( স্প্যান ২-ডি), ২ ডিসেম্বর পিলার ১১ ও ১২ নম্বরে ৪০তম স্প্যান (স্প্যান ২-ই) ও ১০ ডিসেম্বর সর্বশেষ ৪১ নম্বর স্প্যান ( স্প্যান ২-এফ) বসবে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর।
মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।