দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে যশোর, সৈয়দপুর এবং রাজশাহীর শাহমখদুম বিমানবন্দরের রানওয়ের উন্নয়নে ৫৬৬ কোটি ৭৬ লাখ ৯ হাজার টাকা ব্যয় করবে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
প্রকল্পের আওতায় যশোরে ২৮০, সৈয়দপুর ২১০ ও শাহ মখদুম বিমানবন্দরের ২৭০ মিলিমিটার পুরুত্বে অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভারলে-করণ করা হবে।
বিমানবন্দরগুলোর এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং (এজিএল) সিস্টেমের আপগ্রেডেশন, রানওয়ে সাইড-স্ট্রিপসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং প্রতিটি বিমানবন্দরের জন্য পর্যাপ্ত ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি করে আধুনিক অগ্নিনির্বাপক গাড়ি কেনা হবে।
‘যশোর বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরের রানওয়ে সারফেসে অ্যাসফল্ট উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) এই প্রকল্পসহ চার প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। চারটি প্রকল্পের মোট ব্যয় ১ হাজার ৬৬৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
গণভবন থেকে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম সার্বিক বিষয় উপস্থাপন করেন।
রানওয়ে উন্নয়ন প্রকল্পটি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। যশোর, সৈয়দপুর ও শাহমখদুম বিমানবন্দর অনেক পুরনো। ফলে রানওয়ের উপরিভাগের বিটুমিনাস কার্পেটিংয়ের আয়ু শেষ হয়ে গেছে। রানওয়ে সারফেস থেকে নুড়ি পাথর উঠে আসাসহ ডিপ্রেসন আন্ডুলেশনসহ ক্র্যাক সৃষ্টি হচ্ছে। বিমানবন্দরগুলো অধিক সংখ্যক প্লেনের ওঠানামার উপযোগী করে নির্মিত নয়। এসব বিবেচনায় প্রকল্পটি নির্বাচন করা হয়েছে।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সমানতালে বেড়ে চলেছে যাত্রী সংখ্যা। এসব বিবেচনায় যাত্রীবাহী প্লেনের সংখ্যা আরও বাড়বে। তবে নির্মাণের পর থেকে সুদীর্ঘ তিন দশকে রানওয়ের উপরিভাগের বিটুমিনাস কার্পেটিংয়ের আয়ু শেষ হয়েছে। এসব কারণেই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে।
যশোর বিমানবন্দরের চাহিদা বেড়েই চলেছে ফলে গড়ে প্রতিদিন আট থেকে নয়টি যাত্রীবাহী প্লেন ওঠানামা করে। ৮ হাজার ৬০০ ফুট দৈর্ঘ্যের রানওয়ের বিটুমিনাস কার্পেটিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরে গড়ে দৈনিক ১৫টি প্লে চলাচল করে। বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ৮০০ ফুট ও প্রস্থ ১২০ ফুট। কয়েক বছর আগে রানওয়ের সারফেস ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ৬০০ ফুট, প্রস্থ ১২০ ফুট। এ বিমানবন্দরে দিনে চারটি প্লে চলাচল করলেও ঝুঁকি রয়েছে। মেরামতের মাধ্যমে রানওয়েকে সচল রাখা হয়। এসব কারণেই প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ৩০১ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কদমরসুল অঞ্চলে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪৯ কোটি টাকা। ভূ উপরিস্থ পানি উন্নয়নের মাধ্যমে বৃহত্তর দিনাজপুর ও জয়পুরহাট জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে ২৫১ কোটি টাকা।