প্রতিকেজি আলুর দাম কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে ২৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেটা না মানলে কোল্ডস্টোরেজ থেকে এই দামে আলু কিনে বাজারে ছাড়ার ক্ষমতা সরকারের আছে।
আমরা তাদের বিপদে ফেলতে চাই না। যেভাবে হিসাব করা হয়েছে ২৩, ২৫ ও ৩০ টাকা। সেটা যথেষ্ট বিবেচনার মাধ্যমেই করা হয়েছে। ’
আজ রোববার (১৮ অক্টোবর) বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ে কোল্ডস্টোরেজ মালিক, আড়ৎদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে তিন স্তরে যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সেটা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা ও খচরা পর্যায়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। বিষয়টি কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নয়, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বাজার দর মনিটরিং করা, বাজারে দাম বাড়া-কমার কারণ চিহ্নিত করা এবং তা স্থিতিশীল করার জন্য সরকারকে পরামর্শ দেওয়া।
‘তারা এসব বিবেচনা করে একটা পরামর্শ আমাদের কাছে দিয়েছে। আমাদের কাজ হলো ভোক্তাদের স্বার্থ দেখা। সেজন্য তারা যে পরামর্শ দিয়েছে সেটা যেন ভোক্তারা পায় তা দেখার দায়িত্ব আমাদের। এজন্য আমরা আজ আলোচনায় বসেছি। ’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এবছর আলুর উৎপাদনে দেরি হবে। পাশাপাশি বন্যা শাক-সবজির উপর প্রভাব ফেলেছে। ফলে কিছুটা প্রভাব পড়েছে আলুর ওপর। আমাদের যত ঝামেলাই যাক শীতকালীন শাক-সবজি কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে বাজারে আসবে। তখন আলুর ওপর চাপ কমবে। তাই কেউ মজুদ বা আটকে রাখলে বিপদেও পড়বে।
যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা বাস্তায়ন দেখা যাবে কিনা ও মনিটরিং করা হবে কিনা জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, এই দামটা আমরা নির্ধারণ করিনি। তবে আমরা এই দাম দ্রুত বাস্তবায়নে যাবো। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা বলেছেন এই দামটা আর একটু বিবেচনায় নিতে। সেখানে আমরা দু’এক দিনের মধ্যে বসে ২৩ টাকা থেকে যদি আরো এক টাকা বাড়ানোর প্রয়োজন বলে মনে করি তাহলে দেখবো।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে সেটা বাস্তবায়ন করবো। আর বাজরে যেটা ৩০ টাকা করা হয়েছে সেটা টিসিবির মাধ্যমে ২৫ টাকায় বিক্রি করার চেষ্টা করবো। বাজারগুলোতে আমাদের মনিটরিং টিম থাকবে এবং আছে। কাল থেকে র্যাবও অভিযানে যাবে।