বাংলাদেশ ডাকসেবায় আরও ১১ ধাপ পিছিয়েছে । ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের (ইউপিইউ) সমন্বিত উন্নয়ন সূচকের বার্ষিক র্যাংকিংয়ে ১১ ধাপ পিছিয়ে ১২৮ নম্বরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। অথচ চার বছর আগেও বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৮-এ।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগ বাংলাদেশে ডাক পরিষেবা প্রদানের জন্য দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত। এটি বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি অধিদপ্তর। এই মন্ত্রণালয় দুইটি অধিদপ্তরের জন্য নীতি নির্ধারণ করে থাকে।
সম্প্রতি প্রকাশিত চলতি বছরের ইন্টিগ্রেটেড ইনডেক্স ফর পোস্টাল ডেভেলপমেন্ট (২ আইপিডি) রিপোর্টে ইউপিইউ সদস্যভুক্ত ১৭০টি দেশের মধ্যে ১৫.৮০ পয়েন্ট পেয়ে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অবস্থান নেমে গেছে ১২৮ নম্বরে।
অন্যদিকে এবারও র্যাংকিংয়ে সেরা অবস্থানটি ধরে রেখেছে সুইজারল্যান্ড। সুইজারল্যান্ডর পরে সেরা ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে অস্ট্রিয়া, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, জাপান, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও সিঙ্গাপুর। সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকার দেশ মালি।
প্রতিবেদনে পাঁচটি দেশের ডাকসেবাকে আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে সিঙ্গাপুর (দশম), পোল্যান্ড (১৩তম), ব্রাজিল (৪৫তম), তিউনিশিয়া (৪৬তম) ও ঘানা (৫৭তম)।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগের প্রধান পরিসেবাসমূহের মধ্যে রয়েছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ডাক দ্রব্যাদি গ্রহণ, পরিবহন ও বিলিকরণ, রেজিস্ট্রেশন সেবা, ভ্যালু পেয়েবল (ভিপি) সেবা, বীমা সেবা, পার্সেল সেবা, বুক পোস্ট (বুক প্যাকেট ও প্যাটার্ণ প্যাকেট), রেজিস্টার্ড সংবাদপত্র, মানি অর্ডার সেবা, এপ্রেস সেবা (জিইপি ও ইএমএস), ই-পোস্ট এবং ইন্টেল পোস্ট সেবা প্রদান। সাধারণত দূরত্ব এবং গন্তব্য যোগাযোগ উপর নির্ভর করে এ কাজে ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগে।