নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করনের মাধ্যমে বংশ বিস্তারের লক্ষ্যে আজ বুধবার ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে। গত সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে \’মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২০\’ উপলক্ষে এসব তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনায় নিয়ে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে ভিত্তি ধরে মৎস্য সংরক্ষণ আইন সংশোধন করে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের সময়সীমা ২২ দিন করা হয়েছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের গবেষণা ও তথ্যের ভিত্তিতেও তা ২২ দিন অর্থাৎ আশ্বিনের বড় পূণির্মার দিনসহ পূর্বের ১৭ দিন এবং পরের ৪ দিন (১৭+১+৪) করা হয়েছে – যা ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
এ বছর ১৪ অক্টোবর থেকে অভয়াশ্রমগুলোতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে। বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ৪১ উপজেলায় দুই লাখ ৮২ হাজার ৫০০ জেলে পরিবারের জন্য পাঁচ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, \’ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে ইলিশ আহরণের অবৈধ চেষ্টা কোনোভাবেই সফল হতে দেওয়া হবে না। এ সময় কোনোভাবেই ইলিশের প্রজননক্ষেত্রে মা ইলিশ আহরণ করতে দেওয়া হবে না। মা ইলিশ থাকতে পারে এমন নদীতে কাউকে মাছ ধরতে দেওয়া যাবে না।
নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের টহলের পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মনিটর করা হবে যেন কোনো নৌকা বা জাহাজ ইলিশ ধরতে না পারে। এমনকি বিদেশ থেকে কোনো মাছ ধরার যান্ত্রিক নৌযান এলে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় সেটাকেও আটক করা হবে।