ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি নয়, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাহলে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় স্মরণ মঞ্চের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গলের স্মরণে এক নাগরিক শোক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সংগঠনের সহসভাপতি লায়ন আলামীনের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় শোকসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কবি আবদুল হাই শিকদার, উলফাত আজিজ, সাদেক খান, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, এস এম নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক দিদারুল ইসলাম প্রমুখ। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কয়েকদিন ধরে আমরা যা দেখছি ধর্ষণ, নারী নির্যাতন হঠাৎ করে মানুষ খারাপ হয়ে গেল। দেশে
অনাচার থাকলে, দুর্নীতি থাকলে, সুশাসনের অভাব থাকলে এমনটাই হয়। এখন সরকার দ্রæত একটি আইন করে ফেললো। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি। এটা কোন উত্তর হতে পারে না। এটা শুধুমাত্র ড্রাইভেশন, এটা পথকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া। আসলে এর প্রতিকার হল ন্যায়বিচার। আর এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভুল কাজ করছেন। ফাঁসি অত্যন্ত একটি ভুল কাজ। এরচেয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন। ন্যায়বিচার কোনো কঠিন কাজ না। দ্রুত ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করলে ১৫ দিন বা ৭ দিনের মধ্যেই যারা ধর্ষক তাদের ৮০ পার্সেন্ট ধরা পড়ে যাবে। তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করে বিচার করেন। আর যারা ধরা পরবে না তাদের জন্য আলাদা মামলা করেন। তাহলে দেখবেন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রের এই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ২০১৮ সালে দিনের নির্বাচন রাত্রে হয়েছিল। সেই নির্বাচনের পরে বিএনপির ৭০ জন প্রার্থী মামলা করেছিল। সেই মামলার জন্য একদিনও কোর্ট বসেনি। বিচারপতিরা তাদের বিবেকের কাছে এর কি জবাব দেবেন? কিন্তু তাদের কাজ হলো অপরাধীদের মুক্তি দিয়ে দেওয়া। আর যারা নির্দোষ, তাদেরকে আটক করে রাখা। কোর্টের বারান্দায় বারান্দায় ঘোরানো।
ডা. জাফরুল্লাহ আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে শুধু খারাপ কাজ করেছে তা নয়। তিনি ভালো কাজও করেছেন। তাহলে একটা মধ্যবর্তী নির্বাচন দিয়ে দেখেন না। আর জনগণের কাছে গিয়ে বলবেন, আমি ফাঁসি এনেছি। এই ফাঁসির পক্ষে জনগণ যদি আপনাকে ভোট দেয় তাহলে মনে করব আমরা ভুল ছিলাম। তিনিই সঠিক ছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা জানেন, আজ মধ্যবর্তী নির্বাচন হলে ক্ষমতা হারাবেন। জনগণ নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। জনগন যদি নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে তাহলে দেশ কল্যাণ কর হবে। যে জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিল সেই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে।