তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মন্তব্য করে বলেছেন যে, শুধু আইন কঠোর করে বা আইনের কঠোর প্রয়োগ করে ধর্ষণ বন্ধ করা যাবে না। ধর্ষণের মতো অপরাধ প্রতিরোধে বর্তমান প্রজন্মের মনন ও মনোজগৎ পরিবর্তন করতে হবে বলে জানান তিনি।
আজ রোববার (১১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে চট্টগ্রাম বিভাগের ছয় জন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের স্মরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, শুধু আইন কঠোর করে বা কঠোর প্রয়োগ করে ধর্ষণ বন্ধ করা যাবে না। এর জন্য এই জেনারেশনের মনন পরিবর্তন করতে হবে, মনোজগতের পরিবর্তন করতে হবে।
ইন্টারনেটের বিভিন্ন কন্টেন্ট দেখে অপরাধীরা ধর্ষণ ও অন্যান্য অপরাধে উদ্বুদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি অপরাধের কৌশল শেখে বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন বিনোদন মাধ্যমে অনেক কিছু থাকে। এসব কন্টেন্ট আমাদের দেশীয় কৃষ্টি, সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আটক অপরাধীরা জানিয়েছে, এসব কন্টেন্ট দেখে তারা অপরাধে উদ্বুদ্ধ হয়। কেউ কেউ সেই অপরাধের কৌশল রপ্ত করে। এগুলোর বেশিরভাগই বিদেশি প্ল্যাটফর্ম। দেশে ব্যবসা সফল হওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মকে লক্ষ্য করে এ ধরনের কন্টেন্ট তারা প্রকাশ করে।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ধর্ষণ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতাদের সরকারের সমালোচনার জবাব দেন তথ্যমন্ত্রী। সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না- বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারকে তারা সময় দেওয়ার তো কেউ না। সরকারকে সময় দেবে জনগণ। জনগণ সেই সময় আমাদের দিয়ে আসছে; যে কারণে টানা ১২ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা আছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ইকবাল সোবহানসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা। চট্টগ্রাম বিভাগ সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা-চবিসাফ প্রয়াত ছয় সাংবাদিকের স্মরণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রয়াত ছয় সাংবাদিক হলেন, আজকের সূর্যোদয় পত্রিকার সম্পাদক এবং চবিসাফ-এর সাবেক সভাপতি খোন্দকার মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক ডি পি বড়ুয়া, দৈনিক দেশবাংলার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. ফেরদৌস আহমেদ, এনটিভির সাবেক প্রধান যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আবদুস শহিদ, দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদনা বিভাগের সাবেক ইনচার্জ আবুল কালাম এবং দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার সাবেক প্রধান প্রতিবেদক হুমায়ূন কবির খোকন। অনুষ্ঠানে ছয় সাংবাদিকের স্বজনরাও বক্তব্য রাখেন।