আজ রবিবার (০৪ অক্টোবর) বাংলাদেশের বিশেষ বার্তা নিয়ে কুয়েতের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। নভেল করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এটি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিতীয় সফর। এর আগে গত মাসে তুরস্কে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে ওই দেশে গিয়েছিলেন মন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আজ রবিবার সকাল ১১টায় কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন কুয়েতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। দেশটির নতুন আমির শেখ নাওয়াফ আল আহমাদ আল সাবাহর দায়িত্বগ্রহণ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিব। তাঁরা নতুন আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দেবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবের আগামী ৬ অক্টোবর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, কুয়েত সরকারের সঙ্গে বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরো এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহ ও আন্তরিকতার কথা জানানো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এবারের সফরের লক্ষ্য। সফরকালে তিনি কুয়েতের নতুন আমির শেখ নাওয়াফ আল আহমাদ আল সাবাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। সে সময় তিনি আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গভীর শোক ও নতুন আমিরের উদ্দেশে অভিনন্দন বার্তা পৌঁছে দেবেন।
কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বেশ জোরালো। কুয়েতের সদ্যঃপ্রয়াত আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ সম্পর্ক ছিল। তিনি ১৯৭৪ সালে ঢাকায় এসে বঙ্গবন্ধুকে ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে কুয়েতের আমির শেখ সাবাহর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করে আলাদা বিবৃতি দিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গত শুক্রবার সকালে ঢাকায় কুয়েত দূতাবাসে গিয়ে শোক বইয়ে সই করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কুয়েত সফরে ওই দেশটির কারাগারে থাকা বাংলাদেশি সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলের বিষয়ে আলোচনা হবে কিনা- জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, ওই এমপির বিষয়ে আলোচনা করা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের উদ্দেশ্য নয়। এমপি পাপুল তাঁর অপকর্মের মাধ্যমে কুয়েতের মাটিতে বাংলাদেশকে বিতর্কিত ও বিব্রত করেছেন।