স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন যে, সঠিক সময়ে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পেতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা চাই কভিড থেকে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব মুক্তি পাবে। সেজন্য ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তারজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি।
তিনি বলেন, করোনায় আমরা অন্যান্য কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছি। স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সকল কার্যক্রম সঠিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছি। গত সাত মাস আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দিনরাত কাজ করেছে, এবং মাঠ পর্যায়ের সকল ব্যক্তিরা কাজ করে গেছেন। ফলে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আমাদের দেশে মৃত্যুর হার অনেক দেশের তুলনায় কম এবং সংক্রমণের হারও কমে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন আগামী ৪ থেকে ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সের প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে এসময় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
জাহিদ মালেক জানান, এ প্লাস ক্যাম্পেইনের জন্য ৪ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত দুই সপ্তাহব্যাপী এই ক্যাম্পেইনে দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ। আর ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা এক কোটি ৯৩ লাখ। ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য সর্বমোট কেন্দ্র এক লাখ ২০ হাজার, স্বাস্থ্যসেবী প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার এবং স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, কভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে অভিভাবকরা অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই ক্যাম্পেইন উদযাপন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আশা করি কোনো শিশু টিকা খাওয়া থেকে বাদ পড়বে না। বাদ পড়লেও তাদের পরে খাওয়ানো হবে। তবে কোনও শিশু অসুস্থ থাকলে ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না, পরে শিশু সুস্থ হলে ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আলী নূর বক্তব্য রাখেন।