বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের মধ্যে ১১ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি ও তার নিচে। উচ্চ মাধ্যমিক বা এইচএসসি পাস প্রায় ১২ শতাংশ।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তর/তদূর্ধ্ব প্রায় ৭৭ শতাংশ সংসদ সদস্য। আর ব্যবসায়ী ৬১ শতাংশ, আইনজীবী ১৩ শতাংশ, রাজনীতিক ৫ শতাংশ, অন্যান্য ২১ শতাংশ (শিক্ষক, চিকিৎসক, কৃষক, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তা, গৃহিণী, পরামর্শক ইত্যাদি)।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত ‘পার্লামেন্টওয়াচ: একাদশ জাতীয় সংসদ- প্রথম থেকে পঞ্চম অধিবেশন (জানুয়ারি-ডিসেম্বর ২০১৯)’ শীর্ষক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
গবেষণার মূল পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, একাদশ সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার শরিক দলের ৮৯ শতাংশ আসন। অন্যদিকে প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির আসন ৭ শতাংশ এবং অন্য বিরোধী সদস্যরা রয়েছেন ৪ শতাংশ আসনে। সরাসরি নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে পুরুষ ৯২ শতাংশ ও নারী ৮ শতাংশ। সংরক্ষিত আসনসহ এই হার যথাক্রমে ৭৯ শতাংশ ও ২১ শতাংশ। সংসদে নারী সদস্যের হার সুইডেনে ৪৭ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪৬ শতাংশ, নেপালে ৩৩ শতাংশ ও যুক্তরাজ্যে ৩২ শতাংশ।
সংসদ সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর/তদূর্ধ্ব প্রায় ৭৭ শতাংশ, এইচএসসি সমমানের প্রায় ১২ শতাংশ, এসএসসি ও তার নিচে ১১ শতাংশ সদস্য। সদস্যদের মধ্যে ব্যবসায়ী ৬১ শতাংশ, আইনজীবী ১৩ শতাংশ, রাজনীতিক ৫ শতাংশ, অন্যান্য ২১ শতাংশ (শিক্ষক, চিকিৎসক, কৃষক, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তা, গৃহিনী, পরামর্শক ইত্যাদি)।
প্রথম সংসদে ১৮ শতাংশ সদস্যের পেশা ছিল ব্যবসা যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে একাদশ সংসদে এসে দাঁড়িয়েছে ৬১ শতাংশে। অন্যদিকে ভারতের ১৭তম লোকসভায় সংসদ সদস্যদের মধ্যে রাজনীতিক ৩৯ শতাংশ, ব্যবসায়ী ২৩ শতাংশ, আইনজীবী ৪ শতাংশ এবং অন্যান্য পেশার সদস্য রয়েছেন ৩৮ শতাংশ।
সরাসরি নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে পুরুষ ৯২ শতাংশ ও নারী ৮ শতাংশ এবং সংরক্ষিত আসনসহ এই হার যথাক্রমে ৭৯ শতাংশ ও ২১ শতাংশ। নির্বাচিত সদস্যদের একাংশ তাদের হলফনামায় সঠিক তথ্য (আয়ের উৎস, সম্পদের পরিমাণ, নির্বাচনী ব্যয় ও ব্যয়ের উৎস ইত্যাদি) দেননি। নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে ২১ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ছিল।