পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন যে, এখন থেকে বাংলাদেশ-সৌদি আরব রুটে ২০টি করে ফ্লাইট পরিচালিত হবে। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) থেকেই এই ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) গালফ অঞ্চলের ছয়টি দেশ এবং মালয়েশিয়ার ঢাকাস্থ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বৈঠককে ‘ফলপ্রসূ’ দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে বৃহস্পতিবার থেকে সপ্তাহে ২০টি করে ফ্লাইট যাবে। এর মধ্যে সৌদি এয়ারলাইন্সের ১০টি এবং বিমান বাংলাদেশের ১০টি। এর মাধ্যমে দ্রুতই অধিক সংখ্যক প্রবাসী সৌদি ফিরতে পারবেন বলে আমরা আশা করছি। সৌদি আরব ছাড়া অন্য কোনো দেশে শ্রমিক পাঠানো নিয়ে সমস্যা নেই। সংযুক্ত আরব আমিরাত এরসঙ্গে এখন সপ্তাহে ১৭টি ফ্লাইট চলাচল করে। তারা এটাকে আরও বাড়াতে চান।
যারা সৌদি আরব থেকে দেশে চলে এসেছিলেন কিন্তু ভিসার মেয়াদ আছে তাদেরকে পর্যায়ক্রমে ফেরত নেওয়া হবে বলে সৌদি কর্তৃপক্ষের বরাতে জানিয়েছেন দুই মন্ত্রী। আর যারা গত মার্চ মাসে ভিসা পেয়েছিলেন কিন্তু মেয়াদ শেষ তাদের ভিসা রি-ইস্যু করতে হবে বলেও জানান তারা। তবে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ এবং কফিল (চাকরিদাতা) আর নিয়োগ দেবেন না তাদের বিষয়ে ‘কিছু করার নেই’ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এমন শ্রমিকদের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৫৩ জন উল্লেখ করে তাদেরকে ভিন্ন কফিল বা বিকল্প কর্মসংস্থান অথবা দেশেই কোনো কর্মকংস্থানের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন এ কে মোমেন।
এরজন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৭শ কোটি টাকার ফান্ড থেকে সহায়তা নেওয়ারও পরমার্শ দেন তিনি।
এদিকে শ্রমিক ইস্যুতে দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা ইতিবাচক না হলে বিকল্প পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
তিনি বলেন, এখানে এখন যাদের সঙ্গে আলোচনা হলো তারা কেউ রাষ্ট্রদূত নন। তারা নিজেদের দেশে অবস্থান করছেন। আমাদের আলোচনা তারা তাদের দেশে আলোচনা করে ফলাফল দেবে। সেই ফলাফল ইতিবাচক না হলে আমরা বিকল্প নিয়ে ভাবব।
আলোচনা সভায় সৌদি আরব, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান এবং মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। কাতারের আমির ইন্তেকাল করায় দেশটির প্রতিনিধির কেউ সভায় আসেনি।