দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজার ২১৯ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৪৮৮ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৬২ হাজার ৪৩ জনে। মঙ্গলবার ( ২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬২৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৭৩ হাজার ৬৯৮ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০৬টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার ৭৬৯টি। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৮৬৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ লাখ ৩৪ হাজার ২৫১টি।
এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৫ দশমিক ৬০ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৬ জনের মধ্যে ২১ জন পুরুষ ও নারী পাঁচ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ১৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে পাঁচ জন ও রাজশাহী বিভাগে এক জন। এছাড়া খুলনা ও সিলেট বিভাগে দুই জন করে চার জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ২৫ জন ও বাড়িতে এক জন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এক জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২১৮ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৮৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৮১ হাজার ১৪২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৯০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৫ হাজার ২৫২ জন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।