মহীয়সী মাদার তেরেসা বলেছিলেন, ‘কেবল সেবা নয়, মানুষকে দাও তোমার হৃদয়। হৃদয়হীন সেবা নয়, তারা চায় তোমার অন্তরের স্পর্শ।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অনন্য বাণী নিজের জীবন ও কর্মে প্রমাণ করেছেন। দেশের মানুষের ভরসার একমাত্র আশ্রয়স্থল তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা হিসেবে তিনি পাল্টে দিয়েছেন মানবতা সম্পর্কে ধারণা। রুচির ছাপ রয়েছে তার দৃষ্টিভঙ্গি, সৃজনশীলতা, বোধ ও ভাবনায়। তার চিন্তার সূক্ষ্মতা, দূরদর্শিতা নৈঃশব্দ্যের পথ বেয়ে অনন্য মাত্রা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কর্মজীবন প্রায় চার দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী বিস্তৃত। তিনি দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী। বহু বাধা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সাহস ও সংগ্রামে উচ্চশিরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
জননেত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি ও অগ্রগতিতে বিশ্বাসী। তার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন। উপমহাদেশের রাজনীতিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা অনন্য কণ্ঠস্বর, উন্নত তার শির। তিনি একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে, সংসদ নেতা হিসেবে অসীম সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে দেশের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তার সমকক্ষ অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ বিরল। জাতির পিতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাতেই সবচেয়ে নিরাপদ।
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার নিভৃত পল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা। অন্তর থেকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই তাকে। তার সুস্থ কর্মজীবন কামনা করি। জয়তু জাতির পিতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুকন্যা। বহুমাত্রিক দার্শনিক, মাদার অব হিউমেনিটি শেখ হাসিনার জয় হোক। জয় বাংলা।