দেশে বেড়াতে এসে মহামারী করোনার কারনে আটকা পড়েন অনেক সৌদি প্রবাসী। তাদের মধ্যে পুনরায় সৌদি আরব ফেরা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। রিটার্ন টিকিট কেটে এসেও যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে অনেক প্রবাসীর। কারণ কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চালু করেছে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ফলে খুব বেশি প্রবাসীর ফেরার সুযোগ এখনই হচ্ছে না।
সৌদি এয়ারলাইন্স ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৫০০ জন রিটার্ন টিকিটধারীকে টোকেন দিয়েছে। কিন্তু এখনও বাকি বহু সহস্রাধিক প্রবাসী।
কুমিল্লার বাসিন্দা আকুল মিয়া। তার রিটার্ন টিকিটের মেয়াদ ছিল ১১মে। কিন্তু এখন চলছে মাত্র মার্চ মাসের রিটার্ন টিকিটধারীদের টোকেন। আকুল মিয়া সৌদি ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। ঘোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে তার মনের মধ্যে। আদৌ কি ফিরতে পারবেন প্রবাসে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তার মাথায়।
আকুল মিয়ার মতো অনেক সৌদি প্রবাসী বিগত কয়েক দিন যাবত হোটেল সোনারগাঁওয়ের সামনেই অবস্থান করছেন। কিন্তু কোনো সুখবর পাচ্ছেন না তারা। প্রবাসীরা বাধ্য হয়ে শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে হোটেল সোনারগাঁওয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করেন বলে জানান। আন্দোলনে দাবি আদায় হবে, এমন আশা নিয়েই বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
নরসিংদীর হাসান মিয়াও এমন শঙ্কার কথা জানালেন। তিনি বলেন, আমার রিটার্ন টিকিটের তারিখ ৩ এপ্রিল। ভিসার মেয়াদ ৫ এপ্রিল। এরমধ্যে যদি যেতে না পারি, তাহলে আর যেতে পারবো না। আমার সামনে কী যে অন্ধকার দেখতে পাচ্ছি, মাথায় কোনো কিছু কাজ করছে না\’।
সৌদি আরব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজার। সরকারি হিসেবেই দেশটিতে প্রায় ২২ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। করোনার আগে দেশে এসে অন্তত অর্ধ লাখ মানুষ আটকা পড়েছেন। এসব প্রবাসী যদি ফেরত যেতে না পারেন, তাহলে রেমিট্যান্স আয়ে বড় প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে বহু পরিবারের আয় সংকুচিত হবে।