আজ রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ২২তম সভায় দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, আহত, দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা বাবদ ১২৮৫ জন শ্রমিকের নামে ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকার সহায়তার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ২২তম বোর্ড সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী জানান, শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৯ হাজার শ্রমিককে প্রায় ৪০ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের কল্যাণের জন্য সরকার শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করে। এ তহবিল থেকে প্রতিষ্ঠানিক-অপ্রতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, আহত, দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং তাদের মেধাবী সন্তানের উচ্চ শিক্ষায় সহায়তা দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি শ্রমিকদের এ ধরনের সহয়তা দিয়ে আসছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার এই মহাদুর্যোগের সময় শ্রমিকদের চিকিৎসা এবং তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় সহয়তার এ অর্থ অনেক উপকারে আসবে। করোনাকালে এর আগে ১৯৬০ জন শ্রমিককে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে প্রায় ৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়।
সরকারের এ মহতি উদ্যোগে জনগণকে সমপৃক্ত করার লক্ষে মাঠ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনুদানের চেক দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
বোর্ড সভায় জানানো হয়, এ পর্যন্ত দেশি-বহুজাতিক মিলে ১৭৩টি কোম্পানি নিয়মিত এ তহবিলে তাদের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ জমা দিয়ে আসছে। এ তহবিলে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কোম্পানি জমা দিয়েছে ৪৭৭ কোটি টাকা।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত সচিব এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একেএম মিজানুর রহমান, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব উম্মে কুলসুম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের শ্রম উপদেষ্টা কাজী সাইফুদ্দিন আহমদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া এবং মহিলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার সাথী অংশ নেন।