নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন কারো অবস্থাই ভালো না বলে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সবার শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।
আজ রবিবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ ব্যক্তিদের দেখতে এসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩৭ জন বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ২৪ জন মারা গেছেন। প্রত্যেকেরই ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পোড়া। এখন যে ১৩ জন চিকিৎসাধীন, তাদের কারো অবস্থাই ভালো না। সবার শ্বাসনালি পোড়া। পাঁচ থেকে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
চিকিৎসাধীন ১৩ জন হলেন- ইমরান (৩০), মামুন (২৩), আমজাদ (৩৭), আ. সাত্তার (৪০), হান্নান (৫০), আ. আজিজ (৪০), রিফাত (১৮), নজরুল ইসলাম (৫০), মো. কেনান (২৪), আবুল বাসার মোল্লা (৫১), মনির ফরাজী (৩০), শেখ ফরিদ (২১) ও মো. ফরিদ (৫৫)। তাদের মধ্যে ফরিদ, মনির ফরাজী, কেনান, আজিজ, আমজাদ ও আবুল বাশারকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, এই ঘটনায় অবহেলাজনিত কারণ দেখিয়ে মামলা হয়েছে। তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কারো সংশ্লিষ্টতা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের সব হাসপাতালেই বার্ন ইউনিট করার পরিকল্পনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ হন ৩৭ জন মুসল্লি। তাদের মধ্য থেকে এখন পর্যন্ত ২৪ জন মারা গেছেন। বাকি ১৩ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।