না ফেরার দেশে চলে গেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি সাংবাদিক ও রাজনীতিক ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় অসুস্থ অবস্থায় ক্যান্টমেন্টের ভাড়া বাসা থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ডক্টর ফেরদৌস আহমদ কোরেশীর বড় মেয়ে অনিন্দিতা শবনম কোরেশী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর জন্ম ১৯৪১ সালের ১৪ জানুয়ারি। ৬০-এর দশকের মেধাবী এই ছাত্রনেতা তৎকালীন অবিভক্ত পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর তিনি ১৯৬১ সালে ডাকসুর ভিপিও নির্বাচিত হন। অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশে তার অবদান ছিল অসামান্য।
৬ দফা ও ১১ দফাভিত্তিক ছাত্র ও গণআন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তাঞ্চল থেকে মুক্তিযুদ্ধের মুখপাত্র হিসেবে দেশবাংলা পত্রিকা বের করেন ড. কোরেশী। ওই সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গঠন করলে ওই দলের প্রথম যুগ্ম মহাসচিবও ছিলেন ড. কোরেশী। ২০০৭ সালে তিনি প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি) দল গঠন করেন। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত তিনি ওই দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘদিন ধরে ফেরদৌস কোরেশী অসুস্থ ছিলেন। সোমবার দুপুরে ক্যান্টমেন্টের ভাড়া বাসা থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কোরেশী। প্রায় অর্ধমাস ওই হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। এরপর থেকে বিছানা হয় তার একমাত্র ঠিকানা। প্যারালাইজড হওয়ায় ইশারায় কথাবার্তা বলতেন তিনি।