কক্সবাজারে মা ও তরুণী মেয়েকে ‘গরু চোর’ আখ্যা দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে গ্রাম ঘোরানোর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
মন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে খোঁজ নিতে বলেছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। এটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
গত শুক্রবারের (২১ আগস্ট) ওই ঘটনাটির ভিডিও শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এলে গণমাধ্যমে খবর আসে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম তাদের মারধর করেন। মরধরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রকাশ্যে রশিতে বেঁধে পেটাতে পেটাতে গ্রামে ঘোরানো এবং ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে আবার চেয়ারাম্যানের মারধর করার বিষয়টি ন্যক্কারজনক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে অনেকেই মনে করছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে এ ঘটনাকে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন। তবে এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য চেয়ারম্যানের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কথা বলা যায়নি।
চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী কেউ যদি অভিযোগ করে তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, গরু চুরির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ওই দুই মা-মেয়েসহ পাঁচজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, বৃদ্ধ মা ও মেয়েকে কোমরে রশি বেঁধে মারধরের ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অন্যথায় তিনি বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনবেন বলে জানান।