সরকার দেশের জেলাগুলোর নতুন শ্রেণি বিভাগ হালনাগাদ করেছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৬৪ জেলার হালনাগাদ শ্রেণি বিভাগ করে পরিপত্র জারি করেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আট বা এর বেশি উপজেলা থাকা জেলাকে ‘এ’, পাঁচ থেকে সাতটি উপজেলা থাকা জেলাকে ‘বি’ এবং পাঁচটির কম উপজেলা থাকা জেলাকে ‘সি’ শ্রেণির উপজেলার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অবস্থানগত কারণে বেশি গুরুত্ববহ জেলাকে ‘বিশেষ ক্যাটাগরি’র অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ হিসেবে ‘বিশেষ ক্যাটাগরি’র ছয়টি, ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ২৬টি, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ২৬টি এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৬টি জেলা পড়েছে।
ঢাকা বিভাগ : ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও গাজীপুর জেলা বিশেষ ক্যাটাগরির মধ্যে পড়েছে। এ দুই জেলায় পাঁচটি করে উপজেলা রয়েছে। ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও ফরিদপুর ‘এ’ শ্রেণিতে পড়েছে। মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও রাজবাড়ী ‘বি’ শ্রেণিতে রয়েছে। মাদারীপুর ‘সি’ শ্রেণিতে পড়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগ : এ বিভাগের চট্টগ্রাম জেলা রয়েছে বিশেষ ক্যাটাগরিতে। কুমিল্লা, রাঙামাটি, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কক্সবাজার ‘এ’ শ্রেণির জেলা। আর বান্দরবান, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর ‘বি’ শ্রেণিতে রয়েছে।
রাজশাহী বিভাগ : রাজশাহী জেলা রয়েছে বিশেষ ক্যাটাগরির মধ্যে। আর বগুড়া, নওগাঁ, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ ‘এ’ শ্রেণিতে রয়েছে। ‘বি’ ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও জয়পুরহাট জেলা।
রংপুর বিভাগ : রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, ও রংপুর জেলা \’এ\’ শ্রেণিভুক্ত। \’বি\’ শ্রেণিতে গাইবান্ধা, নীলফামারী, লালমনিরহাট, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলা।
খুলনা বিভাগ : খুলনা জেলা বিশেষ ক্যাটাগরিতে পড়েছে। বাগেরহাট ও যশোর \’এ\’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে। \’বি\’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা। \’সি\’ ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছে চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, মেহেরপুর ও নড়াইল জেলা।
বরিশাল বিভাগ : বরিশাল, পটুয়াখালী ‘এ’ শ্রেণির জেলা। ভোলা, পিরোজপুর ও বরগুনা \’বি\’ ক্যাটাগরির এবং ঝালকাঠি \’সি\’ ক্যাটাগরির জেলার আওতায় রয়েছে।
সিলেট বিভাগ : এ বিভাগের চার জেলা সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার ‘এ’ শ্রেণির আওতায় পড়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগ : ময়মনসিংহ জেলা বিশেষ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত। এ বিভাগের নেত্রকোনা \’এ\’ শ্রেণি, জামালপুর ও শেরপুর জেলা ‘বি’ শ্রেণির মধ্যে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্যাটাগরি অনুযায়ী জেলাগুলোতে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, সরকারি ত্রাণ বরাদ্দ এবং সরকারি দফতরগুলোতে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়।