সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশও করোনা ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নব-নিযুক্ত মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্যাভীর সাথে প্রধানমন্ত্রীর চুক্তি হয়েছে, কথা হয়েছে। গ্যাভী সারা বিশ্বে ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে। বাংলাদেশ কিভাবে আগে ভ্যাকসিন পাবে সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে দিক নির্দেশনা দিয়েছে। আমরা তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। ভ্যাকসিন আসলে সবার আগে ফ্রন্টলাইনার্সদের দেয়া হবে। পরে গুরুত্ব অনুযায়ী অন্যদের দেয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে করোনা টেস্টের জন্য পর্যাপ্ত কিট মজুত আছে। কিটের কোন সংকট নেই। আর করোনা পরীক্ষা করার জন্য সারাদেশে ৮০টি পিসিআর স্থাপন করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হবে।
তিনি আরো জানান, আশঙ্কা আছে শীতে করোনার প্রকোপ আরো বাড়তে পারে। সেজন্য পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। যাতে আমাদের দেশে এটা ব্যাপক আকার ধারণ করতে না পারে। করোনায় সারা দেশে বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হলেও স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়ার কোন আশঙ্কা নেই বলেও তিনি জানান।
এর আগে তিনি জাতির পিতার সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পরে ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করে বঙ্গবন্ধু এবং ৭৫-এর ১৫ আগষ্ট নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। এরপর তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নব নির্মিত শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করেন।
এসময় শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপক ডা. লিয়াকত হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিকসহ চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।