আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আহ্বান জানিয়ে বলেন যে, করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) সংকটে সারা দেশে বন্ধ থাকা বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা অব্যাহত রাখাতে হবে।
আজ রবিবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় ওবায়দুল কাদের এ আহ্বান জানান।
বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিন্তু প্রতিষ্ঠানসমূহ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষক-কর্মচারী কষ্টকর জীবন-যাপন করছেন। এমতাবস্থায় আমি বেসরকারি, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত কিংবা বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা পরিচালনা সংশ্লিষ্টদের কষ্ট করে হলেও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। সময় পরিবর্তন হলে নিশ্চয়ই শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্তরিকতা, নিষ্ঠা দিয়ে, তা পুষিয়ে দেবেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারা দেশে বিভিন্ন স্তরে সরকারি ও এমপিওভুক্ত ছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীর বিশাল একটি অংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত। এ সকল শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রতিষ্ঠানের আয় থেকেই দেয়া হয়। এ সংকটকালে প্রধানমন্ত্রী তাদের কথা মনে রেখে ইতোমধ্যে অনুদান দিয়েছেন।’
করোনার সংক্রমণ বিষয়ে মানুষের মাঝে ভয়-ভীতি কমে গেছে মনে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নমুনা পরীক্ষায় মানুষের আগ্রহ যেমন কমেছে, দুটি প্রতিষ্ঠান প্রতারণার কারণে কারও কারও আস্থা কমতে পারে। এছাড়া কোথাও কোথাও নমুনা সংগ্রহের পর রেজাল্ট জানতে দীর্ঘ সময় নিচ্ছে ল্যাবগুলো। এতে মানুষের মাঝে আস্থাহীনতা তৈরি হতে পারে। যা শুভ লক্ষণ নয়। একদিকে নমুনা সংগ্রহের আওতা বাড়ানো জরুরি, অপরদিকে স্বল্পতম সময়ে রেজাল্ট জানিয়ে দেয়াও জরুরি।’