সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) জানিয়েছেন, কোটা পদ্ধতি বাতিল করায় ৪০তম বিসিএস থেকে আর কোটা পদ্ধতি থাকবে না। সর্বশেষ ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে দেওয়ার পর এ তথ্য জানায় কমিশন।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে পিএসসি, তাতে দুই হাজার ২০৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয় বলে জানান কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ. ই. ম. নেছার উদ্দিন।
চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের ফলে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। এর পরদিন বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
পিএসসি জানায়, ২০১৭ সালের ২০ জুন ৩৮তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য ৩৯তম বিসিএসে কোনো কোটা ছিল না।
কিন্তু কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলেও ৩৮তম বিসিএসে কোটা অনুসরণ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে পিএসসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বুধবার (১ জুলাই) সাংবাদিকদের বলেন, কোটা বাতিলের আগেই এ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এজন্য কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। তবে ৪০তম বিসিএস থেকে আর কোটা থাকবে না।
মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সময় বলা হয়েছিল, ফলাফল দেওয়ার সময় সরকারের সর্বশেষ কোটা নীতি ব্যবহার করা হবে।
বিসিএস ছাড়াও সরকারি চাকরিতে নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশসহ মোট ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত ছিল।
কোটা পরিমাণ কমানো বা বাতিলের দাবিতে ২০১৮ সালে জানুয়ারিতে ছাত্র আন্দোলনের পর সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে ২০১৮ সালের ২ জুন একটি কমিটি করে দেয় সরকার।
সরকারি চাকরির নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেড পর্যন্ত (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে) কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ জমা দেওয়া হয়।
চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর সরকারি চাকরিতে অষ্টম থেকে তার ওপরে অর্থাৎ প্রথম গ্রেড পর্যন্ত (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বাতিল করে মন্ত্রিসভা।