দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস নতুন করে সংক্রমণে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৯৪৬ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৬২১ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ২৬ হাজার ৬০৬ জন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ৩২ জন পুরুষ এবং সাতজন নারী। এঁদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে সাতজন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৬২১ জনের।
জানানো হয়, নতুন যে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জন, রাজশাহী বিভাগের পাঁচজন, খুলনা বিভাগে পাঁচজন, বরিশাল বিভাগের দুইজন, ময়মনসিংহ বিভাগের তিনজন এবং রংপুর বিভাগের চারজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৮ জন এবং বাসায় ১১ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮২৯ জন। এ নিয়ে দেশের করোনা সংক্রমণ থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫১ হাজার ৪৯৫ জন।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৭ হাজার ৫৮৬টি। একই সময় পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৯৯টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে তিন হাজার ৯৪৬ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ২৬ হাজার ৬০৬ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৪৪৩টি।
আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৬৪৫ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৭৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ২২ হাজার ৫০৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯ হাজার ৮০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৩ হাজার ৪২৯ জন।
কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই হাজার ৬৫৬ জন। একইসময় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৬১৮ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট তিন লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৭ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৮৫ হাজার ৯৪৯ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬৩ হাজার ৯৯৮ জন।
সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর\’র হটলাইনে কল এসেছে এক লাখ ৬৮ হাজার ৬৩৯টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে এক কোটি ৩১ লাখ ১১ হাজার ৯৫ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে আরো একজন। এ নিয়ে এখন মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ৩৯৬ জনে। এ ছাড়া বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে হটলাইনে চার হাজার ২১৭ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।