আওয়ামী লীগের ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে যে অর্জন সেটি হচ্ছে- দেশের স্বাধীনতা বলে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি- এটিই হচ্ছে সবচেয়ে বড় পাওয়া।
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষির্কী উপলক্ষে দলটির দীর্ঘ সংগ্রামের বর্ণনা দিয়ে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য জাতির পিতা যখন রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব পেলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক সেসময় সেই আরেক মীরজাফর মুস্তাক এবং জিয়ার চক্রান্তে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়ে গেল।
আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, আমি জাতির পিতার প্রতি সম্মান জানিয়ে এটুকু বলব, তিনি আজীবন মানুষের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। জনগণের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি তাঁর সংগ্রামের পথে অনেক বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করেছেন। কিন্তু তিনি ১৯৭১ সালের ১৫ মার্চ যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা হলো- \’জীবনের বিনিময়ে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের স্বাধীন, মুক্ত মানুষ হিসেবে আত্মমর্যাদার সঙ্গে বাস করার নিশ্চয়তা দিয়ে যেতে চাই। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা পাই।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পাকিস্তানি শাসকরা আমাদের ভাষা অধিকার কাড়তে চেয়েছিল। রক্ত দিয়ে আমাদের অধিকার অর্জন করতে হয়েছে। এরপর একের পর এক আঘাত এসেছে। যখনই বাংলাদেশীরা ক্ষমতায় গিয়েছি তখনই আঘাত এসেছে্। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।