বাংলাদেশ থেকে যাঁরা পবিত্র হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন, তাঁরা যেকোনো সময় তাঁদের নিবন্ধনের টাকা তুলে নিতে পারবেন। টাকা তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়টিও খেয়াল রাখা হবে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন।
ধর্মসচিব মো. নূরুল ইসলাম বলেন, নিবন্ধিত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ যদি টাকা না তুলে মনে করেন যে আগামী বছর হজে যাওয়ার জন্য তা রেখে দেবেন, তাহলে সে বিষয়টিকেও স্বাগত জানাবে মন্ত্রণালয়।
মো. নূরুল ইসলাম জানান, আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে একটি সভা ডাকা হয়েছে। সেই সভা থেকেই কীভাবে কী করতে হবে, তা বলে দেওয়া হবে।
ধর্মসচিব বলেন, নিবন্ধনের টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে। যেভাবে তাঁরা (হজের জন্য নিবন্ধিত ব্যক্তি) টাকা জমা দিয়েছিলেন, সেভাবেই টাকা ফেরত নেবেন। তবে টাকা তোলার ক্ষেত্রে যেন সবাই একসঙ্গে ভিড় না করেন, সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে যেন টাকা তোলা হয়, সে বিষয়টি দেখা হবে। তিনি বলেন, ‘আশা করি, আমরা এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা পাব।’
করোনার সংক্রমণের কারণে এবার বাইরের দেশের মুসল্লিরা সৌদি আরবে গিয়ে পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন না।
গতকাল সোমবার সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঘোষণায় বলা হয়, সৌদি আরবে বর্তমানে যাঁরা বসবাস করছেন, তাঁদের মধ্যে খুবই সীমিতসংখ্যক মুসল্লি এবারের পবিত্র হজে অংশ নিতে পারবেন।
সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্তের ফলে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ থেকে নিবন্ধন করা ৬১ হাজার মুসল্লি হজে যেতে পারছেন না। এখন তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়াসহ এ–সংক্রান্ত করণীয় ঠিক করতে আগামীকাল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে সভা ডেকেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী আজ বলেন, আগামীকাল দুপুরে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, সভার সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানানো হবে। কারণ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা শেখ মো. আব্দুল্লাহ মারা যাওয়ার পর এখন প্রধানমন্ত্রীই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। তাঁর অনুমতি নিয়ে পরে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার মুসল্লির হজে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু এবার নিবন্ধন করেন ৬১ হাজার মুসল্লি। সৌদির সিদ্ধান্তের পর তাঁদের এবার আর হজে যাওয়ার সুযোগ থাকছে না।