প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের জন্য অধিক সংক্রমিত ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকা রেড জোন ঘোষণা করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সোমবার (২২ জুন) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এর আগে রোববার (২১ জুন) প্রথম দফায় দেশের ১০ জেলার ২৭ অঞ্চলকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। চট্টগ্রাম, বগুড়া, চুয়াডাঙ্গা, মৌলভীবাজার, নারায়ণগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, যশোর ও মাদারীপুরের মধ্যে এসব রেড জোন পড়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র লাল অঞ্চল (রেড জোন) ঘোষিত এলাকায় উল্লেখিত সময়ের জন্য এ সাধারণ ছুটি থাকবে।
লাল অঞ্চল ঘোষিত এলাকায় বসবাসরত সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বয়ত্তশাসিত, সংবিধবদ্ধ ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান/প্রতিষ্ঠান/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এ ছুটি প্রযোজ্য হবে।
‘লাল অঞ্চল ঘোষিত এলাকায় অবস্থিত সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বয়ত্তশাসিত, সংবিধবদ্ধ ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় কর্মরত ও অন্য এলাকায় বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও এ ছুটি প্রযোজ্য হবে।’
জরুরি পরিষেবা এ সাধারণ ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়ে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাধারণ ছুটি ঘোষণার দিন থেকে রেড জোনে ২১ দিন ছুটি থাকবে। কোনো কোনো রেড জোনে কোনো ২১ দিন সাধারণ ছুটি থাকবে তা আদেশে বলা হয়েছে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনারোগী শনাক্তের পর সংক্রমণরোধে ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার পরে ২৬ মার্চ হতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। বন্ধ করা হয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন।
অর্থনীতি বাঁচাতে টানা ৬৬ দিনের ছুটি শেষে গত ৩১ মে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস-আদালত ও ১ জুন হতে গণপরিবহন চালু করা হয়। এখন আর ছুটি না বাড়িয়ে অধিক সংক্রমিত এলাকা লকডাউন করে ভাইরাসরোধে এগোচ্ছে সরকার।