জাতীয় সংসদে করোনকালীন সময়ে ত্রাণ বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচিত বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ।
তিনি বলেন, করোনকালীন সময়ে ত্রাণ বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। যারা এসব ত্রাণের তালিকা করেছেন, সম্পূর্ণ দলীয়ভাবে করেছেন। ফলে অনেকের আত্মীয়-স্বজন ত্রাণ পেলেও ৭০ ভাগ হতদরিদ্র ও প্রকৃত ত্রাণ পাওয়ার উপযোগী মানুষ ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
জবাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, বিএনপির এমপি মহোদয়ের অভিযোগ সঠিক নয়। ৭০ ভাগ মানুষ ত্রাণ না পেলে দেশে ক্ষোভ-বিক্ষোভ হতো। ত্রাণ চুরির বিষয়ে ৫০/৬০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের তৃতীয় দিনে আজ সম্পূরক বাজেট পাসের আগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উত্থাপিত মঞ্জুরি দাবির প্রেক্ষিতে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ওপর আনীত ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির এমপির উত্থাপিত অভিযোগের জবাবে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
একই বিষয়ে ছাঁটাই প্রস্তাবে অংশ নিয়ে তালিকা প্রণয়নে অস্বচ্ছতার অভিযোগ আনেন সুনামগঞ্জ-৪ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির এমপি পীর ফজলুর রহমান মিসবাহও। জাতীয় পার্টির এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারিও ত্রাণ বিতরণে এক দলীয় ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে সর্বদলীয় ব্যবস্থাপনা প্রণয়নের দাবি জানান।
রওশন আরা মান্নান বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানসহ দুযোর্গ মোকাবেলায় সফলতার সুনামের পাশাপাশি এই মন্ত্রণালয়ের ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে।
পরে প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান তার মঞ্জুরী প্রস্তাবের সপক্ষে জবাব দিতে দাঁড়িয়ে বলেন, বিএনপির এমপি মহোদয়ের অভিযোগ সঠিক নয়। ৭০ ভাগ মানুষ ত্রাণ না পেলে দেশে ক্ষোভ-বিক্ষাভ হতো। ত্রাণ চুরির বিষয়ে ৫০/৬০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন, কোন অনিয়ম পাওয়া গেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে সরকারের কোন দুর্বলতা নেই। দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী। এসময় তিনি সংসদকে জানান, ৫ কোটি লোক আছে ত্রাণের উপকার ভোগীর তালিকায়।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ডাটা ব্যাজ তৈরি করে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। জানুয়ারি থেকে আমরা দুর্যোগ মোকাবেলা করে চলেছি। সর্বশেষ আমরা সফলভাবে আম্ফান মোকাবেলা করেছি। খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। তারপরও যথেষ্ট খাদ্য সাহায্য মজুত আছে। ৬৬ জেলায় নতুন খাদ্যগুদাম নিমার্ণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নতুন করে ১১ হাজার দুযোগ সহনীয় ঘরবাড়ি নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।