প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন যে, তিনি কোনো কিছুতে মৃত্যুর ভয় করেন না। মত্যুকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আজ বুধবার (১০ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনার সময় প্রসঙ্গক্রমে তিনি এ কথা বলেন।
বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রয়াত হাবিবুর রহমান মোল্লার স্মরণে এ শোক প্রস্তাব আনা হয়। শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনার সময় বিরোধীদলের চিপ হুইপ জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান রাঙ্গা করোনার কারণে প্রধানমন্ত্রীকে সংসদ অধিবেশনে না এসে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে অংশ নিতে পারেন বলে মত দেন।
রাঙ্গা বলেন, বাংলাদেশের জন্য শেখ হাসিনাকে দরকার। তাই এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর অধিবেশনে না আসাই ভালো।
স্পিকার বলেন, আপনি শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন।
এরপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক পর্যায়ে বলেন, বিরোধীদলের চিফ হুইপ আমার সংসদে আসার বিষয়ে কথা বলেছেন। করোনায় মৃত্যুর ভয়ে আমি ভীত নই। মানুষ মরণশীল, জন্মালে মরতে হবে। সে করোনায় মরি আর গুলি-বোমায় মরি। মুত্যু অবধারিত, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি ভয় পাবো না। আমার বাবা, মাসহ পরিবারের সবাইকে মারা হয়েছিল। যারা মেরেছিল তারাই ক্ষমতায় ছিল। আমি যদি ভয় পেতাম তাহলে দেশে ফিরে আসতাম না।
‘আল্লাহ জীবন দিয়েছে, আল্লাহ নিয়ে যাবে। এটাই আমি বিশ্বাস করি। যতক্ষণ বেঁচে আছি কাজ করে যাবো। করোনার মধ্যে আমরা বাজেট দিচ্ছি। অনেকে বাজেট দিতে পারছে না। কিন্তু আমি বলেছি, বাজেট দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমি তো বেঁচে থাকতে আসিনি। বাংলার মানুষের জন্য জীবন বিলিয়ে দিতে এসেছি। ভয় পাওয়ার তো কিছু নেই।