র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাবের নিজস্ব একটি অ্যাপস উদ্বোধন ও করোনায় মারা যাওয়া চার সাংবাদিকের পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
র্যাব ডিজি বলেন, লিবিয়ায় যে ঘটনাটি ঘটেছে তা মর্মান্তিক। আমরা ইতোমধ্যে এর মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে। আমরা কাউকে ছাড় দেবো না। এই মুহূর্তেও আমাদের অভিযান চলছে। আমরা স্বাভাবিক সময়ে যেসব কার্যক্রম করে থাকি করোনাকালেও তা করছি। আমাদের বাহিনীর সদস্যরা এই সময়ে মাদক, জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ক্রমাগতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সাংবাদিক পরিবারকে অর্থসহায়তার বিষয়ে র্যাব প্রধান বলেন, কেউ এভাবে স্বজন হারাক তা আমরা চাই না। আমাদের যাতে এমন অনুষ্ঠান আর করতে না হয় সেটাই চাই। আমরা অন্য কোনও অনুষ্ঠান করে মিলিত হবো। এমন অনুষ্ঠান করতে চাই না। আমরা সাংবাদিকদের পাশে থাকবো।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বলেন, আমরা করোনা চিকিৎসায় একটি মডেল করার চেষ্টা করেছি। সারাদেশে যাতে হাসপাতালে চাপ না বাড়ে সেজন্য কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করে আমরা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য অস্থায়ী হাসপাতাল করেছি। সেখানে রোগীরা ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। সেখানে অক্সিজেনসহ সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। র্যাব তাদের বাহিনীর আক্রান্ত সদস্যদের আপডেট জানতে একটি অ্যাপস তৈরি করেছে। বাহিনীতে কর্মরত কোন বাহিনীর কতজন সদস্য আক্রান্ত তা অ্যাপসের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
অনুষ্ঠানে ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়শেন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) সভাপতি আবুল খায়ের এবং সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু, র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ক্র্যাবকে দুটি অত্যাধুনিক অক্সিজেন কনসেন্টেটর উপহার দেয় র্যাব। যাতে করোনা আক্রান্ত ক্রাইম রিপোর্টাররা প্রয়োজনের সময় দ্রুত অক্সিজেন পায়। ক্রাইম রিপোর্টারদের জন্য মেডিক্যাল সামগ্রী উপহার দেয়ার জন্য র্যাবকে ধন্যবাদ জানায় ক্র্যাব।