প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ ও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌরুটের ফেরিসহ সকল নৌযান। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে, বিআইডব্লিটিসি ও টিএ কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। তবে তাতেও থামছে না শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখি মানুষের ঢল।
মঙ্গলবার সকাল থেকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এর শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় দক্ষিণ বঙ্গগামী ২১ জেলার হাজার হাজার মানুষ। সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্য বিধি কোনোটাই মানছেন না তারা। ফলে শিশু-নারীসহ বিভিন্ন বয়সের যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। ভোরে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে একটি ফেরি ছেড়ে গেলেও সকাল ১০টা থেকে ঘাটে নোঙ্গর করা দুটি ফেরিতে কয়েক হাজার যাত্রী অবস্থান করছেন। সরকারের নির্দেশনা না থাকায় ছাড়তে পারছে না ফেরি দুটি।
এদিকে, গাদাগাদি করে করোনা ঝুঁকি নিয়েই তারা ছুটছেন দক্ষিণ বঙ্গের ২১ জেলায় ঈদে ঘরমুখো মানুষেরা। তাই সিবোট, লঞ্চ বা ফেরি না পেয়ে শিমুলিয়ার আশপাশ থেকে ট্রলারে করে যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। কর্তৃপক্ষের একটাই কথা উপরের নির্দেশ না পেলে ছাড়া যাবে না ফেরি।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মো. হেলাল হোসেন জানান, জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় রয়েছে। নিরাপত্তারর স্বার্থে চেক পোস্টসহ ঘাটে প্রবেশের সকল রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দিক ঘুরে যাত্রীরা ঘাট এলাকায় ভীর জমাচ্ছেন। এছাড়া দেখা গেছে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের ৪টি পয়েন্টে চেক পোস্ট থাকায় যাত্রীরা বিভিন্ন লোকাল রাস্তা দিয়ে, লেগুনা, ইজি বাইক, মোটরসাইকেল ও রিকশায় করে ঘাট এলাকায় চলে এসেছেন। এতে করে করোনা ঝুঁকি বেড়েই চলছে। ফরে শিমুলিয়া ঘাটে অপেক্ষমান রয়েছেন শত শত ঘরমুুখো মানুষ।