নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় দেশের চাহিদা মিটিয়ে অন্য দেশকেও খাদ্য সহায়তা করা যাবে।
তিনি বলেছেন, এবার বোরো মৌসুমে আমাদের দেশে যে ধান উৎপাদন হয়েছে, তা আল্লাহর রহমতে আমরা ঘরে তুলতে পারলেই আমাদের নিম্ম আয়ের মানুষের মধ্যে যে ত্রাণের চাহিদা রয়েছে তা আর থাকবে না।
রোববার (১০ মে) সকাল ১১টার দিকে বোচাগঞ্জে বোরো মৌসুমের চাল ক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
খলিদ মাহমুদ বলেন, যখন করোনা প্রাদুর্ভাবে খাদ্য সংকট হতে পারে এমন আশঙ্কায় পৃথিবীর অনেক দেশ চিন্তিত। তখন বাংলাদেশে আমাদের খাদ্য সংকট নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি।
তিনি বলেন, কোথাও খাদ্য ঘাটতি দেখা দিলে আমাদের জানাবেন। সরকারের মানবিক সাহায্য অব্যাহত আছে। ৫০ লাখ লোক প্রধানমন্ত্রীর নগদ অর্থ সহায়তা পাচ্ছেন। এক কোটি মানুষ আসছেন ১০ টাকা কেজি চালের আওতায়।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের সুষ্ঠু তত্ত্বাবধানের কারণে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকেই কৃষিতে বাড়তি নজর দিয়ে আসছেন। কৃষি উপকরণে ভর্তুকি দিয়ে আসছেন। বিএনপি আমলে সারের জন্য কৃষককে গুলি খেয়ে মরতে হয়েছে। আর আওয়ামী লীগ ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের দ্বারে দ্বারে সার পৌঁছে দিয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফছার আলী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জাফর উল্লাহ, চালকল মালিক আবদুল হান্নান প্রমুখ।
এর আগে উপজেলার আব্দুর রউফ অডিটোরিয়াম থেকে ৫০ জন দরিদ্র্য শিল্পীর হাতে নগদ আর্থিক সহায়তা তুলে দেন নৌ প্রতিমন্ত্রী।