বর্তমানে গোটা বিশ্বের কাছে সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় হচ্ছে মহামারী করোনাভাইরাস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে করোনায় সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলায় খাদ্য উৎপাদনের উপর জোর দিয়েছেন উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার সন্ধ্যা ৫টার দিকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রায় ১২ মিনিট টেলিফোনে কথা হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, সন্ধ্যা ৫টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রথমে বাংলা নববর্ষের এবং মাহে রমজান উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানান বাংলা নববর্ষ ও মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানান।
প্রেস সচিব আরও বলেন, ১২ মিনিটের টেলিফোনের কথোপকথনের সময় করোনাভাইরাস মহামারিজনিত কারণে সম্ভাব্য খাদ্য সঙ্কটের মুখোমুখি হওয়ার জন্য তাদের সরকার খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন উভয় নেতা। প্রয়োজনে আমরা একসঙ্গে এই লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে পরিস্থিতি আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। সুতরাং, অঞ্চলের সমস্ত দেশকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় একযোগে কাজ করতে হবে। উভয় দেশ মহামারি মোকাবিলায় উভয় দেশ গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন এবং এ লক্ষ্যে একত্রে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। উভয় প্রধানমন্ত্রীই করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে গত মাসে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, এগিয়ে যেতে সম্মত হন।
শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশে ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রেরণে নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান।
প্রেস সচিব বলেন, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।