গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ৪৯৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৫২ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৯১৩ জন।
আজ সোমবার (২৭ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দেশে আরো সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুবরণকারীরা ছয়জন পুরুষ এবং একজন নারী। এঁদের পাঁচজন ঢাকা শহরের। বাকি দুইজনের একজন সিলেট এবং অন্যজন রাজশাহীর। তাঁদের পাঁচজনের বয়স ষাটোর্ধ এবং একজনের বয়স ৪০ থেকে ৫১ বছরের মধ্যে। এ ছাড়া আজও মৃতদের তালিকায় একটি শিশু রয়েছে। শিশুটির বয়স ১০ বছরের নিচে। এ নিয়ে করোনায় দেশে এ পর্যন্ত ১৫২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানান তিনি।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আরো ৯ জন করোনা রোগী। আর এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ১৩১ জন।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে চার হাজার ১৯২টি। আর পরীক্ষা করা হয়েছে তিন হাজার ৮১২টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে ৪৯৭ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৯১৩ জন। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ হাজার ৪০১টি।
আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৮৫ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ২২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৯ জন এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৩৮ জন। মুক্তরা সবাই প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ছিলেন। সারা দেশে আইসোলেশন শয্যা আছে ৯ হাজার ৭৩৮টি। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে তিন হাজার ৯৪৪টি এবং ঢাকার বাইরে আছে পাঁচ হাজার ৭৯৪টি।
কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে গেছেন এক লাখ ৭৯ হাজার ৪০১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন চার হাজার ৫৯০ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক লাখ এক হাজার ৭২২ জন। সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬০১টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা প্রদান যাবে ৩০ হাজার ৬৩৫ জনকে।
বর্তমানে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, ঝিনাইদহ এবং নাটোরে এখন পর্যন্ত কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি বলে বুলেটিনে জানানো হয়।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর\’র হটলাইনে কল এসেছে ৭৮ হাজার ১৭৮টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত কল এসেছে ৩৪ লাখ ৬৯ হাজার ৩৮৯টি। এসব কলে যারা কভিড-১৯ বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছেন তাদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।